মোঃ মনির হোসেন (সরকার) বন্দর থেকে :
বন্দরে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর আরাফাত নামে এক নয় বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরাফত এলাকার সাবেক ইউপি ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে মনা মেম্বারের ছেলে।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের লাওসার এলাকায় শিশুটির বাড়ির পাশ্ববর্তী পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসিসহ স্বজনরা জানান, এর আগে মঙ্গলবার রাত নয়টায় বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরেনি আরাফাত। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে বুধবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
শুক্রবার সকালে আরাফাতের বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তার মরদেহ ভেসে উঠলে এলাকাবাসি থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
উদ্ধারের সময় তার পরনে ছিল জিন্স প্যান্ট ও চকলেট রঙের চামড়ার জ্যাকেট। তার কপালে আঘাতের চিহ্ন ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়ার আলামত আছে বলে জানায় স্বজনরা। তাদের ধারণা আরাফাতকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তাই তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার তোফাজ্জলের ছেলে রাব্বি (২৩)কে আটক করে ধামগড় ফাঁড়ির পুলিশ।
ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ-খ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম। এছাড়াও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ও ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করতে অনুরোধ করেছি এবং তারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। এ ঘটনায় যেন নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসি উত্তেজিত না হয় সেজন্য পরামর্শ দিয়েছি।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফখরুদ্দিন ভূঁইয়া এই বিষয়ে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। তবে ছেলেটি পানিতে ডুবে মারা গেছে নাকি কেউ তাকে হত্যা করেছে তা এখন পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
Leave a Reply